ঢাকা, ১০ এপ্রিল ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): কারাবন্দি অবস্থা থেকে দুই বছর পর বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া মুক্তির পর থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। করোনা সংক্রমণ থেকে তাকে নিরাপদে রাখতেই এমন উদ্যোগ। এই সময়ে চিকিৎসক এবং পরিবারের দুই-একজন ছাড়া কেউ তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাননি। দলের নেতাদের ধারণা ছিল- ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না। সাক্ষাতের বিষয়টি আগের মতোই কড়াকড়ির মধ্যে থাকছে।
বৃহস্পতিবার নির্ধারিত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়া হোম কোয়ারেন্টাইনেই থাকবেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।
ফখরুল বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে এখন সারা বিশ্বের যে অবস্থা এবং সারাদেশ এখন লকডাউনের মতো হয়ে গেছে, এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তো ১০০ শতাংশ তাকে (খালেদা জিয়া) কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেখানে তিনি সেইফ আছেন। এখন তিনি সম্পূর্ণ হোম কোয়ারেন্টাইন পরিবেশেই থাকবেন। আমরা আশা করি, এরমধ্যে (কোয়ারেন্টাইন অবস্থায়) তিনি ভালো থাকবেন। যখন এ (করোনা ভাইরাস সংক্রমণ) পরিস্থিতির সমস্যাটা কমবে তখন আমরা পরবর্তী অবস্থার কথা চিন্তা করবো।’
দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডাম যথেষ্ট অসুস্থ। এখনো ইনফ্যাক্ট ইম্প্রুভমেন্ট তার অসুখের খুব বেশি হয়নি। একটা মূল বিষয় ছিল যে, তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া আমাদের দাবিটা ছিল।’ ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা বলেছেন যে, দেশের বাইরে যাওয়া যাবে না। দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা সেবার যে অবস্থা তাতে করে তো সব ডাক্তাররাও সার্ভিস দিতে পারছেন না। যতটুকু পারছেন তার যে ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আছেন তারা তাকে দেখেছেন এবং চিকিৎসা দিয়েছেন। আমরা আশা করি যে, এরমধ্যে তিনি ভালো থাকবেন।’
গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ছয় মাস সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। সেদিন বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে অসুস্থ খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় আসেন।
ফিরোজার দোতলায় খালেদা জিয়া কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সঙ্গে নার্সসহ কয়েকজন আছেন। এই ১৪ দিন কেউ নিচে নামেননি বলে জানান তার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের নানা রোগে ভুগছেন।
Leave a Reply